ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

বেসরকারী শিক্ষকদের বেতন ও বোনাস কই? সরকারি নির্দেশ হিমাগারে!

গিয়াস উদ্দিন ::
বেসরকারী স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের সরকার কর্তৃক অনুদান (কথিত বেতন) ও বোনাস ৮ আগষ্টের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট শাখা ব্যংক হতে উত্তোলনের নির্দেশ থাকলেও অদ্যাবদি তা হিমাগারে। ফলে হাজার হাজার শিক্ষক কর্মচারী ও এবারের কোরবানীর ঈদ করা নিয়ে নানান সংশয় দেখা দিয়েছে। জনতা ব্যাংকের জবাব- “আসেনি”

জানা যায়, বিগত রমজানের ঈদেও মতো এবার ঈদুল আযহা অর্র্থাৎ কোরবানি ঈদেও বেসরকারী শিক্ষকদেও কপাল ফাটছে। রমজানের ঈদটা কোন রকম চালিয়ে নিতে পারলেও কোরবানী ঈদ সামাল দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে অনেককেই। সূত্রে প্রকাশ, সরকার গত ১ সপ্তাহ পূর্বে ঘোষনা দিয়েছেন জুলাই ২০১৯ মাসের বেতন ও চলতি ঈদুল আযহার বোনাস এ মাসের ৮ তারিখের জনতা ব্যাংকের শাখা হতে উত্তোলনের জন্য। সর্বশেষ অর্র্থাৎ ৮ তারিখেই যদি উত্তোলন করা যেত তবে অনেকেই কোরবানী করতে পারত। আর যদি ৮ তারিখেই বেতন বোনাস না পায় তবে এগলো নিয়ে কি লাভ তা অনেকের মন্তব্য। এমনিতে যারা বেসরকারী শিক্ষকতা করে আসছে তাদের সিংহভাগের কোন জমানো টাকা নেই। তারা চেয়ে থাকে মাসিক বেতনের দিকে। আর বেতন নিয়ে তালবাহনাকারীরা কি মানুষ নাকি অন্য এক আজব প্রাণি? এমন প্রশ্নের জন্ম দিলেন সচেতন শিক্ষক সমাজ। শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। এ মেরুদন্ডের কাজে নিয়োজিত শিক্ষকবৃন্দ অনেক কষ্ট পরিশ্রম করে জাতি গড়ার অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। তাদেও সাথে বৈষম্য ও বিমাতাসূলভ আচরণ জাতি কোনদিন মেনে নেবে না মর্মে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকগন জানান। প্রকৃতঅর্থে সরকারের দোষ নাকি জনতা ব্যংকের দোষ তা এখনো ঘোলাটে। শিক্ষকেদেও মতে ভবিষ্যতে তাদেও প্রাপ্য অর্থ নিয়ে যেন টালবাহনা না হয় তার দিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিশেষ দৃষ্টি থাকা সময়ের দাবী মনে করেন শিক্ষক সমাজ।

পাঠকের মতামত: